“প্লাস্টিক শিল্পে পরিবেশসম্মত উৎপাদন প্রক্রিয়া” শীর্ষক পশিক্ষণ
৩০ মে ২০২২ তারিখে রিক লালবাগ শাখা অফিসে পিকেএসএফ এর আর্থিক সহায়তায় বেসরকারি উন্নয়ন সংস্থা রিসোর্স ইন্টিগ্রেশন সেন্টার (রিক) কর্তৃক বাস্তবায়িত এসইপি এর উপ-প্রকল্প প্লাস্টিক রিসাইকেল এর আওতায় কামরাঙ্গীরচর এলাকার প্লাস্টিক রিসাইক্লিং এর সঙ্গে সম্পৃক্ত ক্ষুদ্র ও মাঝারি প্লাস্টিক শিল্প উদ্যোক্তাদের জন্য "প্লাস্টিক শিল্পে পরিবেশসম্মত উৎপাদন প্রক্রিয়া" শীর্ষক প্রশিক্ষণ অনুষ্ঠিত হয়। উক্ত প্রশিক্ষণে প্রধান আলোচক হিসাবে উপস্থিত ছিলেন জনাব ওমর ফারুক (নয়ন), ডিপ্লোমান ইন মেকানিক্যালইঞ্জিনিয়ারিং এবং প্রোাপাইটার মেসার্স নাসিমা এন্টারপ্রাইজ, ৪২ কাজী রিয়াজুদ্দিন রোড, পোস্তা, লালবাগ, ঢাকা- ১২১১। তিনি বলেন যে আমাদের আজকের প্রশিক্ষণ আয়োজনের মূল উদ্দেশ্য হলো প্লাস্টিক রিসাইক্লিং কারখানা পরিচালনার ক্ষেত্রে পরিবেশ রক্ষায় করণীয় ও বর্জনীয় বিষয়াবলি নিয়ে আলোচনা করা। প্লাস্টিক রিসাইক্লিং কারখানায় নিয়ম মেনে স্বাস্থ্যসম্মতভাবে মেশিন পরিচালনার পূর্ব শর্ত হচ্ছে ব্যক্তিগত সুরক্ষা সামগ্রী ব্যবহার করা। কারখানার ভেতরে শীতল পরিবেশ বজায় রাখা যার ফলে কর্মীদের কাজে মনোযোগ আসবে, কাজ ভালো হবে, উৎপাদন বৃদ্ধি পাবে, মেশিনপত্র ঠাÐা থাকবে এবং টেকসই হবে। সর্বোপরি উৎপাদন ব্যয় কমে আসবে। ব্যবসায় লাভ বেশি হবে। পরিবেশগতভাবে বলতে গেলে বলা যায় যে শব্দ দূষণ ও বায়ু দূষণ প্রতিরোধ করা যাবে, তার জন্য যথাক্রমে হিটার ঢেকে রাখতে হবে, কালো পাউডার ব্যবহার করা যাবে না, বিশুদ্ধ তেল ব্যবহার করতে হবে। কালো পাউডার ও খোলা তেল পরিবেশের জন্য মারাত্বক ক্ষতিকারক এবং কর্মীদের স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ঝুঁকিপূর্ণ। কর্মীদের স্বাস্থ্য সুরক্ষার জন্য ও কাজের স্পৃহা বাড়ানোর জন্য কারখানার অভ্যন্তরে পর্যাপ্ত আলোর ব্যবস্থা থাকতে হবে, কারখানার আশপাশ ও ভেতরের পরিবেশ পরিষ্কার পরিচ্ছন্ন রাখতে হবে, বিশেষ করে ওয়েল সেল কখনও ছিদ্র হলে দ্রæত মেরামত করতে হবে, তা না হলে তেলে পিচ্ছল হয়ে যাবে এবং যে কোনো সময় দুর্ঘটনা ঘটতে পারে। পরিবেশ রক্ষায় প্লাস্টিক বর্জ্য ব্যবহারে নতুন নতুন প্রযুক্তির ব্যবহার বাড়াতে হবে এবং এর সঙ্গে নিজেদেরকে খাপ খাওয়াতে হবে এবং এমন পণ্য উৎপাদন করতে হবে যেন পরিবেশগতভাবে টেকসই হয় এবং উন্নয়নকে ত্বরান্বিত করবে। একই সঙ্গে পুরো উৎপাদন প্রক্রিয়া এমন হতে হবে যেন পরিবেশকে কোনোভাবেই ক্ষতিগ্রস্ত না করে।
পরিবেশ কর্মকর্তা ক্ষুদ্র উদ্যোক্তাদের পরিবেশ কার্ড প্রদান ও এর পূরণের কারণ এবং গুরুত্ব তুলে ধরেন। তিনি ঋণ বিতরণ বা গ্রহণের আগে পরিবেশ বিষয়ক অঙ্গীকার নামা যথাযথভাবে পূরণ ও মেনে চলার ব্যাপারে বিস্তারিত আলোচনা করেন।
প্রশিক্ষণের প্রশ্নোত্তর পর্বে প্রশিক্ষণার্থীরা স্বতঃস্ফুর্তভাবে প্রশ্ন করেন এবং নানান জটিল বিষয়ে প্রশ্ন করে প্রশিক্ষকের নিকট থেকে সে সব বিষয়ের সমাধান জেনে নেন। যেমন- এক প্রশিক্ষার্থীর প্রশ্ন ব্লেড পাম্প এবং পিস্টন পাম্প এর তফাৎ কী? এর জবাবে প্রশিক্ষক মহোদয় বলেন যে
ব্লেড পাম্প প্রয়োজন ও অপ্রয়োজনে সর্বদা কাজ করে এত বিদ্যুৎ ব্যয় বেশি হয় এবং এটা পুরাতন মডেল। অন্য দিকে, পিস্টন পাম্প প্রয়োজনের সময় কাজ করে এবং এর বিদ্যুৎ খরচ অনেক কম, এটা অত্যাধুনিকও বটে। প্লাস্টিক বর্জ্য রিসাইক্লিং করে আপনারা পরিবেশের জন্য যে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখছেন তা বলাই বাহুল্য। একটি সময়োপযোগী প্রশিক্ষণ আয়োজনের জন্য অংশ গ্রহণকারিগণ রিক সংস্থাসহ সংশ্লিষ্ট সকলকে আন্তরিক ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানান।