পবিত্র মাহে রমজান উপলক্ষে ব্যস্ততা বেড়েছে লৌহজং এর নান্নু মিয়ার।
রমজানের প্রথম দিনে তাপপ্রবাহ ও কাঠ ফাটা গরমে রোজাদারদের প্রাণ এখন ওষ্ঠাগত। সারা দিনের গরমের তীব্রতায় জিহ্বা আর গলা যেন শুকিয়ে কাঠ হয়ে যাচ্ছে। তাই ইফতারে ভাজাপোড়া খাবারের চেয়ে জনপ্রিয় হয়ে উঠেছে মাঠা, দই ও বোরহানি সহ নানা দুগ্ধ যত পণ্য । দুপুরের পর থেকেই বাজারগুলোতে বসে বিভিন্ন ইফতার সামগ্রী দোকান। বিভিন্ন তৈলাকতো ভাজা খাবারের পাশাপাশি থাকে মাঠাসহ বিভিন্ন দুগ্ধ জাত পণ্য।
রির্সোস ইন্টিগ্রেশন সেন্টার (রিক) সূত্রে জানাযায়, সাসটেইনেবল এন্টার প্রাইজ প্রজেক্ট (এসইপি) উপ-প্রকল্প “উত্তম পদ্ধতি অনুসরনের মাধ্যমে নিরাপদ দুগ্ধজাতপণ্য উৎপাদন ত্বরান্বিতকরণ” এর আওতায় মুন্সিগঞ্জে ৩শত জন উদ্যোক্তাকে নিরাপদ ভাবে দুগ্ধ জাত পণ্য তৈরীর প্রশিক্ষণসহ বিনামূল্যে তাদের পরিবেশ উন্নয়নে কাজ করে। তাদেরই একজন লৌহজং উপজেলার জশুলদিয়া গ্রামের নান্নু মিয়া। তিনি পূর্বে আইসক্রিম ও দই তৈরি করলেও বর্তমানে মাঠা, দই, বোরহানি, ঘি ও আইসক্রিম তৈরি করে বাজার করছেন। তার তৈরি মাঠা লৌহজং উপজেলার চাহিদা মিটিয়ে পার্শ্ববর্তী শ্রীনগর ও নবাবগঞ্জ উপজেলাতেও বিক্রি করা হচ্ছে।
সরেজমিনে গিয়ে দেখা যায়, কারিগররা মেশিন দিয়ে দুধ মাড়াই করে সেখান থেকে ক্রিম আলাদা করছে, বড় বড় চৌকো না কড়াইয়ে দুধ জ্বাল করা হচ্ছে পাশাপাশি তৈরি হওয়া মাথাগুলো বোতলে ভরে লেভেল লাগিয়ে বাজারজাত করার জন্য প্রস্তুত করা হচ্ছে।
উদ্যোক্তা নান্নু মিয়া বলেন, আমি আগে দই তৈরি করে বিভিন্ন বিয়ে বাড়িতে বিক্রি করতাম আর আইসক্রিম তৈরি করে বিভিন্ন দোকানে দোকানে বিক্রি করতাম। দুধ বাহিরে খোলা জায়গাতে জাল দিয়েই দই ও আইসক্রিম তৈরি করতাম। পরে রিক থেকে থেকে আমাকে বিভিন্ন ধরনের দুগ্ধ জাত পণ্য তৈরি প্রশিক্ষণ দেয়। এখন আমি আগের চেয়ে অনেক বেশি পণ্য তৈরি করে। বিভিন্ন বাজারে বিক্রি করে আগের চেয়ে বেশি লাভবান হচ্ছি। এছাড়া আমি প্রতিটি পণ্য স্বাস্থ্যসম্মত উপায়ে তৈরি করি আমার এখানে যারা কাজ করে তারা এখন সকলেই মাস্ক, গ্লাবস পরে সব কিছু তৈরি করে। রমজান উপলক্ষে বিভিন্ন দোকানিরা মাঠা চাচ্ছে এখন মাথার চাহিদা বেশি থাকায় অন্যান্য পণ্যের পাশাপাশি আমরা মাঠাই বেশি তৈরি করছি।